আল ওয়াকি’আ

৯৬ আয়াত

بِسْمِ ٱللّٰهِ ٱلرَّحْمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِ
আয়াত
-
৯১ ) তাহলে তাকে সাদর অভিনন্দন জানানো হয় এভাবে যে, তোমার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।
فَسَلَٰمٌ لَّكَ مِنْ أَصْحَٰبِ ٱلْيَمِينِ ٩١
৯২ ) আর সে যদি অস্বীকারকারী পথভ্রষ্টদের কেউ হয়ে থাকে
وَأَمَّآ إِن كَانَ مِنَ ٱلْمُكَذِّبِينَ ٱلضَّآلِّينَ ٩٢
৯৩ ) তাহলে তার সমাদরের জন্য রয়েছে ফূটন্ত গরম পানি
فَنُزُلٌ مِّنْ حَمِيمٍ ٩٣
৯৪ ) এবং জাহান্নামে ঠেলে দেয়ার ব্যবস্থা।
وَتَصْلِيَةُ جَحِيمٍ ٩٤
৯৫ ) এ সবকিছুই অকাট্য সত্য।
إِنَّ هَٰذَا لَهُوَ حَقُّ ٱلْيَقِينِ ٩٥
৯৬ ) অতএব, হে নবী, আপনার মহান রবের নামের তাসবীহ-- তথা পবিত্রতা ঘোষণা করুন। ৪২
فَسَبِّحْ بِٱسْمِ رَبِّكَ ٱلْعَظِيمِ ٩٦
৪২.
হযরত উকবা ইবনে আমের জুহানী বর্ণনা করেছেন, এ আয়াত নাযিল হলে রসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তোমরা এটিকে রুকূ’তে স্থান দাও। অর্থাৎ রুকূ’তে سُبحَانَ رَبِى العَظِيْم পড়। পরে سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى আয়াতটি নাযিল হলে তিনি বললেন, এটিকে তোমরা সিজদায় স্থান দাও। অর্থাৎ সিজদায় سُبحَانَ رَبِى الْاَعْلَى পড় (মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, ইবনে হাব্বান, হাকেম)। এ থেকে জানা যায়, রসূলুল্লাহ ﷺ নামাযের যে নিয়ম পদ্ধতি বেঁধে দিয়েছেন তার ছোট ছোট বিষয়গুলো পর্যন্ত কুরআনের ইঙ্গিত ও নির্দেশনা থেকেই গৃহীত।
অনুবাদ: