আয়াত
৪১ ) মুত্তাকীরা ২২ আজ সুশীলত ছায়া ও ঝর্ণাধারার মধ্যে অবস্থান করছে।
إِنَّ ٱلْمُتَّقِينَ فِى ظِلَٰلٍ وَعُيُونٍ ٤١
৪২ ) আর যে ফল তারা কামনা করে (তা তাদের জন্য প্রস্তুত) ।
وَفَوَٰكِهَ مِمَّا يَشْتَهُونَ ٤٢
৪৩ ) যে কাজ তোমরা করে এসেছো তার পুরস্কার স্বরূপ আজ তোমরা মজা করে খাও এবং পান করো।
كُلُوا۟ وَٱشْرَبُوا۟ هَنِيٓـًٔۢا بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ ٤٣
৪৪ ) আমি নেককার লোকদের এরূপ পুরস্কারই দিয়ে থাকি।
إِنَّا كَذَٰلِكَ نَجْزِى ٱلْمُحْسِنِينَ ٤٤
৪৫ ) সেদিন ধ্বংস রয়েছে মিথ্যা আরোপকারীদের জন্য। ২৩
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ ٤٥
৪৬ ) খেয়ে নাও ২৪ এবং ফূর্তি কর। কিছুদিনের জন্য ২৫ আসলে তো তোমরা অপরাধী।
كُلُوا۟ وَتَمَتَّعُوا۟ قَلِيلًا إِنَّكُم مُّجْرِمُونَ ٤٦
৪৭ ) সেদিন ধ্বংস রয়েছে মিথ্যা আরোপকারীদের জন্য।
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ ٤٧
৪৮ ) যখন তাদের বলা হয়, আল্লাহর সামনে অবনত হও, তখন তারা অবনত হয় না। ২৬
وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ ٱرْكَعُوا۟ لَا يَرْكَعُونَ ٤٨
৪৯ ) সেদিন ধ্বংস রয়েছে মিথ্যা আরোপকারীদের জন্য।
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ ٤٩
৫০ ) এখন এ কুরআন ছাড়া আর কোন বাণী এমন হতে পারে যার ওপর এরা ঈমান আনবে? ২৭
فَبِأَىِّ حَدِيثٍۭ بَعْدَهُۥ يُؤْمِنُونَ ٥٠
২২.
এখানে এ শব্দটি যেহেতু مُكَذِّبِيۡنَ (মিথ্যা আরোপকারীদের) বিপরীতে ব্যবহৃত হয়েছে তাই মুত্তাকী শব্দ বলে এখানে সেসব লোকদের বুঝানো হয়েছে যারা আখেরাতকে মিথ্যা বলে অস্বীকার করা থেকে বিরত থেকেছে এবং আখেরাতকে মেনে নিয়ে বিশ্বাসে জীবন যাপন করেছে যে, আখেরাতে আমাদেরকে নিজেদের কথাবার্তা কাজ-কর্ম এবং স্বভাব চরিত্র ও কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।
২৩ .
এখানে যে অর্থ এ আয়াতাংশ বলা হয়েছে তাহলো, তাদের জন্য একটি বিপদ হবে তাই যা ওপরে বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থাৎ তারা হাশরের ময়দানে অপরাধী হিসেবে উঠবে। তাদের অপরাধ প্রকাশ্যে এভাবে প্রমাণ করা হবে যে, তা দের জন্য মুখ খোলার সুযোগ পর্যন্ত থাকবে না এবং পরিণামে তারা জাহান্নামের ইন্ধনে পরিণত হবে। দ্বিতীয়ত, তাদের জন্য মসিবতের ওপর মসিবত হবে এই যে, যেসব ঈমানদারদের সাথে তাদের সারা জীবন দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও লড়াই হয়েছে, যাদের তারা নির্বোধ, সংকীর্ণমনা ও প্রতিক্রিয়াশীল বলে আখ্যায়িত করতো, যাদের নিয়ে তারা হাসি-তামাসা ও বিদ্রূপ করতো এবং যাদের তারা নিজেদের দৃষ্টিতে হীন, নীচ ও লাঞ্ছিত মতে করতো তাদেরকেই তারা জান্নাতের মধ্যে আরাম আয়েশের জীবন যাপন করে আমোদ ফূর্তি করতে দেখবে।
২৪ .
এখন বক্তব্যের সমাপ্তি টানতে গিয়ে শুধু মক্কার কাফের নয় বরং সারা পৃথিবীর কাফেদের সম্বোধন করে একথাগুলো বলা হয়েছে।
২৫ .
অর্থাৎ দুনিয়ার এ স্বল্পকাল স্থায়ী জীবনে।
২৬.
আল্লাহর সামনে আনত হওয়ার অর্থ শুধু তাঁর ইবাদাত বন্দেগী করাই নয়, বরং তাঁর প্রেরিত রসূল এবং নাযিলকৃত কিতাবকে স্বীকার করা এবং তার বিধি-বিধানের আনুগত্যও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
২৭ .
অর্থাৎ মানুষকে হক ও বাতিলের পার্থক্য বুঝিয়ে দেয়ার এবং হিদায়াতের পথ দেখানোর জন্য সবচেয়ে বড় জিনিস যা হতে পারতো তা কুরআন আকারে নাযিল করা হয়েছে। এ কুরআন পড়ে বা শুনেও যদি কেউ ঈমান না আনে তাহলে একে বাদ দিয়ে আর কোন জিনিস এমন হতে পারে যা তাকে সত্য পথে আনতে সক্ষম?