আল হাককাহ

৫২ আয়াত

بِسْمِ ٱللّٰهِ ٱلرَّحْمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِ
৩১ ) তারপর জাহান্নামে নিক্ষেপ করো।
ثُمَّ ٱلْجَحِيمَ صَلُّوهُ ٣١
৩২ ) এবং সত্তর হাত লম্বা শিকল দিয়ে বেঁধে ফেলো।
ثُمَّ فِى سِلْسِلَةٍ ذَرْعُهَا سَبْعُونَ ذِرَاعًا فَٱسْلُكُوهُ ٣٢
৩৩ ) সে মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান পোষণ করতো না
إِنَّهُۥ كَانَ لَا يُؤْمِنُ بِٱللَّهِ ٱلْعَظِيمِ ٣٣
৩৪ ) এবং দুস্থ মানুষের খাদ্য দিতে উৎসাহিত করতো না। ২০
وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ ٱلْمِسْكِينِ ٣٤
৩৫ ) তাই আজকে এখানে তার সমব্যথী কোন বন্ধু নেই।
فَلَيْسَ لَهُ ٱلْيَوْمَ هَٰهُنَا حَمِيمٌ ٣٥
৩৬ ) আর কোন খাদ্যও নেই ক্ষত নিঃসৃত পুঁজ-রক্ত ছাড়া।
وَلَا طَعَامٌ إِلَّا مِنْ غِسْلِينٍ ٣٦
৩৭ ) যা পাপীরা ছাড়া আর কেউ খাবে না।
لَّا يَأْكُلُهُۥٓ إِلَّا ٱلْخَٰطِـُٔونَ ٣٧
৩৮ ) অতএব তা নয়। ২১ আমি শপথ করছি ঐ সব জিনিসের ও যা তোমরা দেখতে পাও
فَلَآ أُقْسِمُ بِمَا تُبْصِرُونَ ٣٨
৩৯ ) এবং ঐসব জিনিসের যা তোমরা দেখতে পাওনা।
وَمَا لَا تُبْصِرُونَ ٣٩
৪০ ) এটা একজন সম্মানিত রসূলের বাণী ২২
إِنَّهُۥ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ ٤٠
২০.
অর্থাৎ নিজে কোন দরিদ্রকে খাবার দেয়া তো দূরের কথা কাউকে এতটুকু কথা বলাও পছন্দ করতো না যে, আল্লাহর ক্ষুধা ক্লিষ্ট বান্দাদের খাদ্য দান করো।
২১ .
অর্থাৎ তোমরা যা মনে করে নিয়েছো ব্যাপার তা নয়।
২২.
এখানে সম্মানিত রসূল মানে হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কিন্তু সূরা তাকবীরে (আয়াত ১৯) সম্মানিত রসূলের যে উল্লেখ আছে তার অর্থ হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম। এখানে যে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই সম্মানিত রসূল বলা হয়েছে তার প্রমাণ হলো, কুরআনকে সম্মানিত রসূলের বাণী বলার পরেই বলা হয়েছে যে তা কোন কবি বা গণকের কথা নয়। আর একথা সবারই জানা যে, মক্কার কাফেররা হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই কবি বা গণক বলতো। তারা জিবরাঈল আলাইহিস সাল্লামকে কবি বা গণক বলতো না। পক্ষান্তরে সূরা তাকবীরে কুরআন মজীদকে সম্মানিত রসূলের বাণী বলার পরে বলা হয়েছে যে, সে রসূল অত্যন্ত শক্তিশালী, আরশের অধিপতির কাছে উচ্চমর্যাদার অধিকারী, সেখানে তাঁর কথা গ্রহণ করা হয়, তিনি বিশ্বস্তও আমানতদার এবং মুহাম্মাদ ﷺ তাঁকে পরিষ্কার দিগন্তে দেখেছেন। সূরা নাজমের ৫ থেকে ১০ আয়াতে জিবরাঈল আলাইহিস সাল্লাম সম্পর্কে প্রায় এ একই বিষয় বর্ণিত হয়েছে।

এখানে একটি প্রশ্ন জাগে। তাহলো, কুরআনকে মুহাম্মাদ ﷺ ও জিবরাঈল আলাইহি সালামের বাণী বলার তাৎপর্য কি? এর জওয়াব হলো, মানুষ কুরআনের এ বাণী শুনতো রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখ থেকে এবং রসূলুল্লাহ ﷺ শুনতেন জিবরাঈল আলাইহিস সালামের মুখ থেকে। তাই এক বিচারে এটি ছিল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বানী এবং আরেক বিচারে এটি হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালামের বাণী। কিন্তু পরক্ষণেই বিষয়টি স্পস্ট করে বলে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে এ হচ্ছে সমগ্র বিশ্ব-জাহানের রবের নাযিলকৃত বাণী। তবে তা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিবরাঈলের মুখ থেকে এবং লোকদেরকে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ থেকে শুনানো হচ্ছে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিজের কথা থেকেও এ সত্যটিই ফুটে উঠে। তিনি বলেছেন যে, এসব তাদের দুজনের কথা নয়। বরং বার্তাবাহক হিসেবে তাঁর এ বাণী মূল বাণী প্রেরকের পক্ষ থেকে পেশ করেছেন।

অনুবাদ: