ইবনে জারীর তাবারী এ আয়াতের তাফসীর করেছেন এভাবেঃ
اى يخالفون فى حدوده وفرائضه فيجعلون حدودا غير حدوده
“তারা আল্লাহর সীমানা ও তাঁর বিধানসমূহের ব্যাপারে তাঁর বিরোধিতা করে এবং আল্লাহর নির্ধারিত সীমার পরিবর্তে অন্যান্য সীমা নির্ধারণ করে।”
আল্লামা বায়যাবী এর তাফসীর প্রসঙ্গে বলেনঃ
اى يعادونهما ويشاقونهما او يضعون او يختارون حدودا غير حدودهما-
“আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে দুশমনি ও বিবাদে লিপ্ত হয়, অথবা আল্লাহ ও রসূলের নির্ধারিত সীমারেখার পরিবর্তে অন্যান্য সীমারেখা নির্ধারণ করে। অথবা অন্যদের নির্ধারিত সীমারেখাকে মেনে নেয়।”
আল্লামা আলূসী রুহুল মায়ানীতে বায়যাবীর উক্ত তাফসীরের সাথে মতৈক্য প্রকাশ করে শায়খুল ইসলাম সা’দুল্লা চালপীর এই বক্তব্য উদ্ধৃত করেছেন যে, “এ আয়াতে সেসব রাজা বাদশাহ ও স্বেচ্চাচারী শাসকদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারিত হয়েছে, যারা শরীয়াতের নির্ধারিত আইনবিধির পরপন্থী বহু আইনবিধি প্রবর্তন করেছে এবং তাকে আইন নামে আখ্যায়িত করেছে।” এ প্রসঙ্গে আল্লাম আলূসী শরীয়াতী আইনের মোকাবিলায় মানব রচিত আইনের সাংবিধানিক অসারতা (অর্থাৎ ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে সাংবিধানিক অসারতা) সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে গিয়ে লিখেছেনঃ
“সে ব্যক্তিতো নিঃসন্দেহে কাফের, যে মানব রচিত আইনকে উত্তম ও শরীয়াতের চেয়ে ভালো বলে আখ্যায়িত করে এবং বলে যে, এ আইন অপেক্ষাকৃত বিজ্ঞজনোচিত ও জাতির জন্য অধিকতর উপযোগী। অধিকন্তু তাকে যখন কোন ব্যাপারে বলা হয় যে, শরীয়াতের আদেশ এ ব্যাপারে এরূপ তখন সে রাগে ফেটে পড়ে। এ ধরনের চরিত্র সম্পন্ন কিছু লোক আমরা দেখেছি, যাদের ওপর আল্লাহর অভিশাপ পড়েছে।”