وَلَهُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ كُلٌّ لَهُ قَانِتُونَ (الروم : 26)
“আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে তা সব তারই মালিকানাধীন। সবাই তার নির্দেরশের অনুগত।”(আর রুম-২৬)
يُدَبِّرُ الْأَمْرَ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ (السجدة : 5)
“আসমান থেকে যমীন পর্যন্ত সব কাজের ব্যবস্থাপনা তিনিই পরিচালনা করে থাকেন।”
لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَإِلَى اللَّهِ تُرْجَعُ الْأُمُورُ (الحديد : 5)
“আসমান ও যমীনের বাদশাহী তাঁরই। সব বিষয় আল্লাহর দিকেই রুজু করা হবে।”
وَلَمْ يَكُنْ لَهُ شَرِيكٌ فِي الْمُلْكِ (الفرقان : 2)
“বাদশাহী ও সার্বভৌমত্বে কেউ তাঁর অংশীদার নয়।”
بِيَدِهِ مَلَكُوتُ كُلِّ شَيْءٍ (يس : 82)
“সবকিছুর কর্তৃত্ব ও শাসন ক্ষমতা তাঁরই হাতে।” (ইয়াসীন-৮২)
فَعَّالٌ لِمَا يُرِيدُ- (البروج : 16)
“যা ইচ্ছা তাই করতে সক্ষম”(আল বুরুজ-১৬)
لَا يُسْأَلُ عَمَّا يَفْعَلُ وَهُمْ يُسْأَلُونَ- (الانبياء : 23)
“তিনি যা করেন তার জন্য তাকে কারো জবাবদিহি করতে হয় না। তবে অন্য সবাইকে জবাবদিহি করতে হয়।”
اللَّهُ يَحْكُمُ لَا مُعَقِّبَ لِحُكْمِهِ- (الرعد : 41)
“আল্লাহ ফয়সালা করেন। তাঁর ফয়সালা পুনর্বিবেচনাকারী কেউ নেই।”
وَهُوَ يُجِيرُ وَلَا يُجَارُ عَلَيْهِ (المؤمنون : 88)
“তিনিই আশ্রয় দান করেন। তাঁর বিরুদ্ধে কেউ আশ্রয় দিতে পারে না। (আল মু’মিনূন, ৮৮)
قُلِ اللَّهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ بِيَدِكَ الْخَيْرُ إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ (ال عمران : 26)
“বলো, হে আল্লাহ, বিশ্ব-জাহানের মালিক! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দান কর এবং যার নিকট থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও। তুমি যাকে ইচ্ছা মর্যাদা দান করো আবার যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত কর। সমস্ত কল্যাণ তোমার আয়ত্বে। নিঃসন্দেহে তুমি সব বিষয়ে শক্তিমান।”(আলে ইমরান, ২৬)
এসব স্পষ্ট ঘোষণা থেকে একথা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, আল্লাহ তা’আলার বাদশাহী সার্বভৌমত্ব কোন সীমিত বা রূপক অর্থের বাদশাহী নয়, সত্যিকার বাদশাহী যা সার্বভৌমত্বের পূর্ণাংগ অর্থ ও পূর্ণাংগ ধারণার মূর্তপ্রতীক। সার্বভৌম ক্ষমতা বলতে প্রকৃতপক্ষে যা বুঝায় তার অস্তিত্ব তার বাস্তবে কোথাও থাকলে কেবলমাত্র আল্লাহ তা’আলার বাদশাহীতেই আছে। তাঁকে ছাড়া আর যেখানেই সার্বভৌম ক্ষমতা থাকার দাবী করা হয় তা কোন বাদশাহী বা ডিক্টেটরের ব্যক্তিসত্তা, কিংবা কোন শ্রেণী বা গোষ্ঠী অথবা কোন বংশ বা জাতি যাই হোক না কেন প্রকৃত সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী নয়। কেননা যে ক্ষমতা অন্য কারো দান, যা কোন সময় পাওয়া যায় এবং আবার এক সময় হাতছাড়া হয়ে যায়, অন্য কোন শক্তির পক্ষ থেকে যা বিপদেরআশঙ্কা করে, যার প্রতিষ্ঠা ও টিকে থাকা সাময়িক এবং অন্য বহু প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি যার ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের গণ্ডি সীমিত করে দেয় এমন সরকার বা রাষ্ট্রের ক্ষমতাকে আদৌ সার্বভৌম ক্ষমতা বলা হয় না।
কিন্তু কুরআন মজীদ শুধু একথা বলেই ক্ষান্ত হয় না যে, আল্লাহ তা’আলা গোটা বিশ্ব-জাহানের বাদশাহ। এর সাথে পরবর্তী আয়াতাংশগুলোতে স্পষ্ট করে বলেছে, তিনি এমন বাদশাহ যিনি, ’কুদ্দুস’, ’সালাম’, ‘মু’মিন’, ’মুহাইমিন’, ’আযীয’, ‘জাব্বার’, ‘মুতাকাব্বির’, ‘খালেক’, ‘বারী’এবং ‘মুছাওবির’।