- সূরা
- বিষয়
আল ফাতিহা
আল বাকারাহ
আলে ইমরান
আন্ নিসা
আল মায়েদাহ
আল আন'আম
আল আরাফ
আল আনফাল
আত তওবা
ইউনুস
হুদ
ইউসুফ
আদ দুহা
আর্ রাদ
ইবরাহীম
আল হিজর
আন্ নাহল
বনী ইসরাঈল
আল কাহফ
মারয়াম
ত্বাহা
আল আম্বিয়া
আল হাজ্জ
আল মুমিনূন
আন্ নূর
আল-ফুরকান
আশ্-শু’আরা
আন নামল
আল কাসাস
আল আনকাবূত
আর রূম
লুকমান
আস সাজদাহ
আল আহযাব
আস সাবা
ফাতের
ইয়া-সীন
আস্ সা-ফফা-ত
সা-দ
আয যুমার
আল মুমিন
হা-মীম আস সাজদাহ
আশ শূরা
আয্ যুখরুফ
আদ দুখান
আল জাসিয়াহ
আল আহক্বাফ
মুহাম্মদ
আল ফাতহ
আল হুজুরাত
ক্বাফ
আয যারিয়াত
আত তূর
আন নাজম
আল ক্বামার
আর রহমান
আল ওয়াকি’আ
আল হাদীদ
আল মুজাদালাহ
আল হাশর
আল মুমতাহিনা
আস সফ
আল জুমআ
আল মুনাফিকুন
আত তাগাবুন
আত তালাক
আত তাহরীম
আল মুলক
আল কলম
আল হাককাহ
আল মাআরিজ
নূহ
আল জিন
আল মুযযাম্মিল
আল মুদ্দাস্সির
আল কিয়ামাহ
আদ্ দাহর
আল মুরসালাত
আন নাবা
আন নাযি’আত
আবাসা
আত তাকবীর
আল ইনফিতার
আল মুতাফফিফীন
আল ইনশিকাক
আল বুরূজ
আত তারিক
আল আ’লা
আল গাশিয়াহ
আল ফজর
আল বালাদ
আশ শামস
আল লাইল
আল ইখলাস
আল ফালাক
আন নাস
আলাম নাশরাহ
আত তীন
আল আলাক
আল কাদ্র
আল বাইয়েনাহ
আল যিলযাল
আল আদিয়াত
আল কারি’আহ
আত তাকাসুর
আল আসর
আল হুমাযা
আল ফীল
কুরাইশ
আল মাউন
আল কাউসার
আল কাফিরূন
আন নসর
আল লাহাব
৩৩
৩৪
এ আয়াতটি এ কথাও স্পষ্ট করে দেয় যে, আয়াত ইসলামে ‘আত্মীয়তার বন্ধন’ ছিন্ন করা হারাম। অপরদিকে ইতিবাচক পন্থায় কুরআন মজীদের কয়েকটি স্থানে আত্মীয়-স্বজনের সাথে উত্তম ব্যবহারের বড় নেকীর কাজ বলে গণ্য করা হয়েছে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ দেখুন, আল বাকারা, ৮৩; ১৭৭; আন নিসা, ৮-৩৬; আন নাহল, ৯০; বনী ইসরাঈল, ২৬ এবং আন নূর, ২২ আয়াত। رحم শব্দটি আরবী ভাষায় রূপক অর্থে নৈকট্য ও আত্মীয়তা বুঝাতে ব্যবহৃত হয়। কোন ব্যক্তির দূর ও নিকট সম্পর্কীয় সব আত্মীয়ই তার نوى الارحام তাদের যার সাথে যত নিকট আত্মীয়তার সম্পর্ক তার অধিকার তত বেশী এবং তার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা তত বড় গোনাহ। অত্মীয়তা রক্ষা করার অর্থ হলো, আত্মীয়ের উপকার করার যতটুকু সামর্থ্য ব্যক্তির আছে, তা করতে দ্বিধা না করা। আর আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার অর্থ হচ্ছে, ব্যক্তির তার সাথে খারাপ ব্যবহার বা আচরণ করা, অথবা যে উপকার করা তার পক্ষে সম্ভব তা না করে পাশ কাটিয়ে চলা। হযরত উমর (রা.) এ আয়াত থেকে প্রমাণ প্রশ করে “উম্মে ওয়ালাদ” বা সন্তানদের মা ক্রীতদাসকে বিক্রি করা হারাম ঘোষণা করেছিলেন এবং সাহাবা কিরামের সবাই এতে ঐকমত্য প্রকাশ করেছিলেন। হাকেম মুসতাদরিক গ্রন্থে হযরত বুরাইদা থেকে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, একদিন তিনি হযরত উমরের (রা.) মজলিসে বসেছিলেন। হঠাৎ মহল্লার মধ্যে চেঁচামেচি শুরু হলো। জিজ্ঞেস করে জানা গেল যে, এক ক্রীতদাসীকে বিক্রি করা হচ্ছে তাই তাঁর মেয়ে কাঁদছে। হযরত উমর (রা.) সে মুহূর্তেই আনসার ও মুহাজিরদের একত্র করে তাদের জিজ্ঞেস করলেন, হযরত মুহাম্মাদ ﷺ যে জীবন ব্যবস্থা দিয়েছেন তার মধ্যে আত্মীয়তা বা রক্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার কোন বৈধতা কি আপনারা পেয়েছেন? সবাই জবাব দিলেন, ‘না’। হযরত উমর (রা.) বললেনঃ তাহলে এটা কেমন কথা যে, আপনাদের এ সমাজেই মাকে তার মেয়ে থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে? এর চেয়ে বড় আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নের কাজ আর কী হতে পারে? তারপর তিনি এ আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন। সবাই বললো ত্রুটি রোধ করার জন্য আপনার মতে যে ব্যবস্থা উপযুক্ত মনে করেন তাই গ্রহণ করুন। সুতরাং হযরত উমর (রা.) গোটা ইসলামী অঞ্চলে এই সাধারণ নির্দেশ জারী করে দিলেন যে, যে দাসীর গর্ভে তার মালিকের ঔরসজাত সন্তান জন্ম গ্রহণ করেছে তাকে বিক্রি করা যাবে না। কারণ, এটা আত্মীয়তা বা রক্তের বন্ধন ছিন্ন করা। সুতরাং এ কাজ হালাল নয়।