আয়াত
১৬১ ) কাজেই তোমরা ও তোমাদের এ উপাস্যরা
فَإِنَّكُمْ وَمَا تَعْبُدُونَ ١٦١ ▶ ⏸︎
১৬২ ) কাউকে আল্লাহ থেকে ফিরিয়ে রাখতে পারবে না,
مَآ أَنتُمْ عَلَيْهِ بِفَٰتِنِينَ ١٦٢ ▶ ⏸︎
১৬৩ ) সে ব্যক্তিকে ছাড়া যে জাহান্নামের প্রজ্জ্বলিত আগুনে প্রবেশকারী হবে। ৯০
إِلَّا مَنْ هُوَ صَالِ ٱلْجَحِيمِ ١٦٣ ▶ ⏸︎
১৬৪ ) আর আমাদের অবস্থা তো হচ্ছে এই যে, আমাদের মধ্য থেকে প্রত্যেকের একটি স্থান নির্ধারিত রয়েছে। ৯১
وَمَا مِنَّآ إِلَّا لَهُۥ مَقَامٌ مَّعْلُومٌ ١٦٤ ▶ ⏸︎
১৬৫ ) এবং আমরা সারিবদ্ধ
وَإِنَّا لَنَحْنُ ٱلصَّآفُّونَ ١٦٥ ▶ ⏸︎
১৬৬ ) খাদেম ও তাসবীহ পাঠকারী।”
وَإِنَّا لَنَحْنُ ٱلْمُسَبِّحُونَ ١٦٦ ▶ ⏸︎
১৬৭ ) তারা তো আগে বলে বেড়াতো,
وَإِن كَانُوا۟ لَيَقُولُونَ ١٦٧ ▶ ⏸︎
১৬৮ ) হায়! পূর্ববর্তী জাতিরা যে “যিকির” লাভ করেছিল তা যদি আমাদের কাছে থাকতো
لَوْ أَنَّ عِندَنَا ذِكْرًا مِّنَ ٱلْأَوَّلِينَ ١٦٨ ▶ ⏸︎
১৬৯ ) তাহলে আমরা হতাম আল্লাহর নির্বাচিত বান্দা। ৯২
لَكُنَّا عِبَادَ ٱللَّهِ ٱلْمُخْلَصِينَ ١٦٩ ▶ ⏸︎
১৭০ ) কিন্তু (যখন সে এসে গেছে) তখন তারা তাঁকে অস্বীকার করেছে। এখন শিগ্গির তারা (তাদের এ নীতির ফল) জানতে পারবে।
فَكَفَرُوا۟ بِهِۦ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ ١٧٠ ▶ ⏸︎
৯০.
এ আয়াতের দ্বিতীয় অনুবাদ এও হতে পারেঃ “কাজেই তোমরা ও তোমাদের এ ইবাদাত, এর ভিত্তিতে তোমরা কাউকে ফিতনার মধ্যে নিক্ষেপ করতে পারো না কিন্তু একমাত্র তাকে যে ....................।” এ দ্বিতীয় অনুবাদের প্রেক্ষিতে এর অর্থ হবে, হে পথভ্রষ্টের দল। এই যে, তোমরা আমাদের পূজা করছো এবং আমাদেরকে আল্লাহর রব্বুল আলামীনের সন্তান গণ্য করছো, এর মাধ্যমে তোমরা আমাদেরকে ফিতনার মধ্যে নিক্ষেপ করতে পারো না। এর মাধ্যমে তো কেবলমাত্র এমন নির্বোধই ফিতনার মধ্যে নিক্ষিপ্ত হতে পারে, যে সর্বনাশের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে। অন্য কথায় বলা যায়, ফেরেশতারা তাদেরকে বলছেঃ “পাতো এ ফাঁদ অন্য পাখির জন্য।”
৯১.
অর্থাৎ আল্লাহর সন্তান হওয়া তো দূরের কথা, আমাদের অবস্থা তো হচ্ছে এই যে, আমাদের মধ্যে যার জন্য যে মর্যাদা ও স্থান নির্ধারিত হয়েছে তা থেকে সামান্যতমও এদিক ওদিক করার ক্ষমতা কারো নেই।
৯২.
একই বিষয়বস্তু সূরা ফাতিরের ৪২ আয়াতে আলোচিত হয়েছে।