وَلَا تُؤْمِنُوٓا۟ إِلَّا لِمَن تَبِعَ دِينَكُمْ قُلْ إِنَّ ٱلْهُدَىٰ هُدَى ٱللَّهِ أَن يُؤْتَىٰٓ أَحَدٌۭ مِّثْلَ مَآ أُوتِيتُمْ أَوْ يُحَآجُّوكُمْ عِندَ رَبِّكُمْ ۗ قُلْ إِنَّ ٱلْفَضْلَ بِيَدِ ٱللَّهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَآءُ ۗ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌۭ
তাছাড়া এই লোকেরা পরস্পর বলাবলি করে, নিজের ধর্মের লোক ছাড়া আর কারো কথা মেনে নিয়ো না। হে নবী! এদের বলে দাও, “আল্লাহ্র হিদায়াতই তো আসল হিদায়াত এবং এটা তো তাঁরই নীতি যে, এক সময় যা তোমাদের দেয়া হয়েছিল, তাই অন্য একজনকে দেয়া হবে অথবা অন্যেরা তোমাদের রবের কাছে তোমাদের বিরুদ্ধে পেশ করার জন্য শক্তিশালী প্রমাণ পেয়ে যাবে।” হে নবী! তাদের বলে দাও, “অনুগ্রহ ও মর্যাদা আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত, যাকে ইচ্ছা তিনি তা দান করেন। তিনি ব্যাপক দৃষ্টির অধিকারী ৬২
৬২
মূলে “ওয়াসে” শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। কুরআনে সাধারণত তিনটি জায়গায় এ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। এক, যেখানে কোন একটি মানব গোষ্ঠীর সংকীর্ণমনতা ও সংকীর্ণ চিন্তার উল্লেখ করা হয় এবং আল্লাহ তাদের মতো সংকীর্ণ দৃষ্টির অধিকারী নন, একথা তাদের জানিয়ে দেবার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। দুই, যেখানে কারো কৃপণতা, সংকীর্ণমনতা এবং স্বল্প সাহস ও হিম্মতের কারণে তাকে তিরস্কার করে মহান আল্লাহ যে উদার হস্ত এবং তার মতো কৃপণ নন, একথা বুঝাবার প্রয়োজন হয়। তিন, যেখানে লোকেরা নিজেদের চিন্তার সীমাবদ্ধতার কারণে আল্লাহর ওপরও এক ধরনের সীমাবদ্ধতা আরোপ করে থাকে। এক্ষেত্রে একথা জানাবার প্রয়োজন হয়ে পড়ে যে, আল্লাহ সকল প্রকার সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে, তিনি অসীম। (এ প্রসঙ্গে সূরা আল বাকারার ১১৬ টীকাটিও দেখুন)।