- সূরা
- বিষয়
আল ফাতিহা
আল বাকারাহ
আলে ইমরান
আন্ নিসা
আল মায়েদাহ
আল আন'আম
আল আরাফ
আল আনফাল
আত তওবা
ইউনুস
হুদ
ইউসুফ
আদ দুহা
আর্ রাদ
ইবরাহীম
আল হিজর
আন্ নাহল
বনী ইসরাঈল
আল কাহফ
মারয়াম
ত্বাহা
আল আম্বিয়া
আল হাজ্জ
আল মুমিনূন
আন্ নূর
আল-ফুরকান
আশ্-শু’আরা
আন নামল
আল কাসাস
আল আনকাবূত
আর রূম
লুকমান
আস সাজদাহ
আল আহযাব
আস সাবা
ফাতের
ইয়া-সীন
আস্ সা-ফফা-ত
সা-দ
আয যুমার
আল মুমিন
হা-মীম আস সাজদাহ
আশ শূরা
আয্ যুখরুফ
আদ দুখান
আল জাসিয়াহ
আল আহক্বাফ
মুহাম্মদ
আল ফাতহ
আল হুজুরাত
ক্বাফ
আয যারিয়াত
আত তূর
আন নাজম
আল ক্বামার
আর রহমান
আল ওয়াকি’আ
আল হাদীদ
আল মুজাদালাহ
আল হাশর
আল মুমতাহিনা
আস সফ
আল জুমআ
আল মুনাফিকুন
আত তাগাবুন
আত তালাক
আত তাহরীম
আল মুলক
আল কলম
আল হাককাহ
আল মাআরিজ
নূহ
আল জিন
আল মুযযাম্মিল
আল মুদ্দাস্সির
আল কিয়ামাহ
আদ্ দাহর
আল মুরসালাত
আন নাবা
আন নাযি’আত
আবাসা
আত তাকবীর
আল ইনফিতার
আল মুতাফফিফীন
আল ইনশিকাক
আল বুরূজ
আত তারিক
আল আ’লা
আল গাশিয়াহ
আল ফজর
আল বালাদ
আশ শামস
আল লাইল
আল ইখলাস
আল ফালাক
আন নাস
আলাম নাশরাহ
আত তীন
আল আলাক
আল কাদ্র
আল বাইয়েনাহ
আল যিলযাল
আল আদিয়াত
আল কারি’আহ
আত তাকাসুর
আল আসর
আল হুমাযা
আল ফীল
কুরাইশ
আল মাউন
আল কাউসার
আল কাফিরূন
আন নসর
আল লাহাব
২৪
বনী ইসরাঈলের বর্ণনাসমূহেও এ কাহিনী পাওয়া যায়। কিন্তু তার শেষাংশ কুরআনের বর্ণনার বিপরীত এবং হযরত সুলাইমানের মর্যাদার বিরোধী। সেখানে বলা হয়েছে, হযরত সুলাইমান যখন এমন একটি উপত্যকা অতিক্রম করছিলেন যেখানে খুব বেশী পিঁপড়ে ছিল তখন তিনি শুনলেন একটি পিঁপড়ে চিৎকার করে অন্য পিঁপড়েদেরকে বলছে, “নিজেদের ঘরে ঢুকে পড়ো, নয়তো সুলাইমানের সৈন্যরা তোমাদের পিষে ফেলবে।” একথা শুনে হযরত সুলাইমান (আ) সেই পিঁপড়ের সামনে বড়ই আত্মম্ভরিতা প্রকাশ করলেন। এর জবাবে পিঁপড়েটি তাঁকে বললো, তুমি কোথাকার কে? তুমি তো নগণ্য একটি ফোঁটা থেকে তৈরী হয়েছো। একথা শুনে হযরত সুলাইমান লজ্জিত হলেন। (জুয়িশ ইনসাইকোপিডিয়া ১১ খণ্ড, ৪৪০ পৃষ্ঠা) এ থেকে অনুমান করা যায়, কুরআন কিভাবে বনী ইসরাঈলের বর্ণনাসমূহ সংশোধন করেছে এবং তারা নিজেদের নবীদের চরিত্রে যেসব কলঙ্ক লেপন করেছিল কিভাবে সেগুলো দূর করেছে। এসব বর্ণনা থেকে কুরআন সবকিছু চুরি করেছে বলে পশ্চিমী প্রাচ্যবিদরা নির্লজ্জভাবে দাবী করে।
একটি পিঁপড়ের পক্ষে নিজের সমাজের সদস্যদেরকে কোন একটি আসন্ন বিপদ থেকে সতর্ক করে দেয়া এবং এজন্য তাদের নিজেদের গর্তে ঢুকে যেতে বলা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মোটেই অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। এখন হযরত সুলাইমান একথাটি কেমন করে শুনতে পেলেন এ প্রশ্ন থেকে যায়। এর জবাবে বলা যায়, যে ব্যক্তির শ্রবণেন্দ্রিয় আল্লাহর কালামের মতো সূক্ষ্মতর জিনিস আহরণ করতে পারে তার পক্ষে পিঁপড়ের কথার মতো স্থুল (Crude) জিনিস আহরণ করা কোন কঠিন ব্যাপার হতে যাবে কেন?